মিরপুরে বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ এনে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। তারা দাবি করেছেন, তাদের ওপর হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুর হয় বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে, যা এখনও চলছে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনাস্থল থেকে নিউজ টোয়েন্টি ফোরের প্রতিবেদক মারুফা রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশন বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠের বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার বাধার মুখে পড়েন দলটির নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লাঠিপেটা করেছেন এবং ধাওয়া দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার এই সমাবেশ হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ সমাবেশ স্থলে যাচ্ছিলেন। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রসহ হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এখন মিরপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয়পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গণপরিবহন ভাড়াবৃদ্ধি ও পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের পর ঢাকার ১৬ টি স্পটে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এখন পর্যন্ত ৪টি স্পটে সমাবেশ হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরার কামারপাড়া সমাবেশেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী জোনের মিরপুর ৬ নং সেকশন আজকের জনসভা স্থলে ব্যাপক টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ছাত্রলীগ, যুবলীগের হামলা চালিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ঢাকা পুলিশ কমিশনার অফিসের উদ্দেশ্য মিরপুর থেকে রওনা করেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, পুলিশ আমাদের দুপুর ১টার দিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। সে অনুযায়ী আমাদের মঞ্চ বানানোসহ সার্বিক প্রস্তুতি চলছিল। নেতাকর্মীরাও সমাবেশকে সফল করতে মিছিল নিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অস্ত্রসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। যখন এই হামলা হয় তখন পুলিশ নীরব ছিল। একটু পরে সমাবেশস্থল থেকে তারা চলে যান। পরে পুলিশও নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল গুলি ও লাঠি চার্জ শুরু করে। এতে তাদের ৭০-৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার পর প্রথমে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরাও একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। উভয় মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এখন পরিস্থিতি থমথমে।